ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর: সাদিক রহমান একটি কারখানার উৎপাদন ব্যবস্থাপক। তার কারখানায় বিভিন্ন ধরনের টাইলস, বেসিন, কমোড প্রভৃতি তৈরি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির মূলধনের পুরোটাই সরকার দিয়েছে। এর লাভের অংশও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়। এটি বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। এর চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক সহ সকল কর্মচারী সরকার নিয়োগ দেয়। এর পরিচালনাগত নিয়ম-কানুনও সরকারই নির্ধারণ করে দিয়েছে। উল্লিখিত ঘটনায় যে প্রতিষ্ঠানের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের উদাহরণ।
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১, জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
অথবা, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বলতে দেশের জনগণের কল্যাণে গঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠনকে বোঝায়। এ ব্যবসায় এমন একটি সংগঠন যেটি জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে গঠিত ও পরিচালিত হয়। কম খরচে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে এটি
মৌলিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন খাতগুলো হলো- ওয়াসা, রেলওয়ে, ডাক ও তার প্রভৃতি।
প্রশ্ন-২. কোন ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ? ব্যাখ্যা করো।
অথবা, ‘জনকল্যাণই রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য’- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা।
এ ব্যবসায় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় না। এর উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রের প্রতিটি ব্যক্তি যাতে উপকার পায় তা নিশ্চিত করা। তবে প্রতিষ্ঠানের কাজ চালু রাখার জন্য পরিচালনা খরচ ওঠানোর চেষ্টা করে এ ব্যবসায়। এর মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তাই বলা যায়, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ করা।
প্রশ্ন-৩. কোন ব্যবসায় স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
রাষ্ট্রের মাধ্যমে গঠিত বা পরবর্তীতে জাতীয়করণ করা কোনো ব্যবসায়ের মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের অধীনে থাকলে; তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। এ ব্যবসায়গুলোর বেশিরভাগই স্বায়ত্তশাসন ভোগ করে থাকে। বিশেষ অধ্যাদেশ বা আইনের মাধ্যমে এগুলো পরিচালিত হয়। সরকারি নীতি ও সংস্থার নিজস্ব আইনের মাধ্যমে এর কাজ সম্পাদিত হলেও দৈনন্দিন কাজ করতে বেশ স্বাধীনতা লক্ষ করা যায়।
প্রশ্ন-৪. কেন রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ব্যবসায় গঠিত হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ব্যবসায় গঠনের মূল উদ্দেশ্য জনকল্যাণ।
দেশের জনগণের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণের লক্ষ্যে এ ব্যবসায় গঠন করা হয়। এজন্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি পণ্য ও সেবা উৎপাদন ও বন্টন রাষ্ট্রীয় মালিকানায় করা হয়ে থাকে। আবার, অনস্বার্থে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতেও অনেক ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালনা করা হয়ে থাকে। তাই, জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠিত হয়।
প্রশ্ন-৫. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় অন্য ব্যবসায় থেকে ভিন্ন কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রাষ্ট্রীয়ভাবে গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়কে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে।
ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসায় সাধারণত মুনাফার উদ্দেশ্যে মূলধন বিনিয়োগ করে গঠন করা হয়। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সরকারি উদ্যোগে জতীয় সংসদে অধিকাংশ সদস্যের সম্মতি নিয়ে বিল পাসের মাধ্যমে গঠন করা হয়। এ ব্যবসায় দেশের জনগণের কল্যাণ সাধনের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়। এটি তাদের কাছে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বা সেবা পৌঁছে দেয়। অন্যান্য ব্যবসায় সংগঠনের উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন হলেও এ ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ। তাই রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় অন্যান্য ব্যবসায় থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৬. কীভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হয়? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সরকারি নিয়ম-কানুন পালন করে সরকারি উদ্যোগে গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির বিশেষ আদেশে বা জাতীয় সংসদে বিশেষ আইন পাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গড়ে ওঠে। আবার, সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগেও এ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠিত হ্যা।
প্রশ্ন-৭. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কীভাবে রাষ্ট্রের সক্ষমতা বাড়ায়?
উত্তর: রাষ্ট্রের মাধ্যমে গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায় হলো রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়।
এ ব্যবসায় মুদ্রা ও ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, দেশরক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট শিল্প পরিচালনা ও জনগণের সর্বোচ্চ কল্যাণ করতে গঠিত হয়। এসব কাজের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় রাষ্ট্রের সক্ষমতাকে বাড়ায়।
প্রশ্ন-৮. বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের যৌক্তিকতা/উদ্দেশ্য কী? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের স্বার্থে গঠিত হয় এবং রাষ্ট্রের মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়গুলো অধিকাংশই প্রয়োজন অনুসারে সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে গঠিত হয়। কারণ বেসরকারি মালিকানার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো জনকল্যাণকে প্রাধান্য না দিয়ে মুনাফা অর্জনকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। বাংলাদেশেও রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠিত হওয়ার জনগণ ন্যায্যমূল্যে পণ্য ও সেবা পাচ্ছ। তাই, বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক।
প্রশ্ন-৯. জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কীভাবে ভূমিকা রাখে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: রাষ্ট্রীয় মালিকানায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায় হলো রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়। দেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপতায় প্রয়োজনীয় শিল্পের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রীয় অধীনে রাখা হয়। যেমন- গোলবাবুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাণ। এতে যে কেউ চাইলেই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে না। এ ধরনের শিল্পের বাণিজ্যিক কাজও সরকার পরিচালনা করে। তাই বাইরের কোনো শত্রুর হাতে দেশীয় অস্ত্র যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সরকারি নিয়ন্ত্রণে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
প্রশ্ন-১০. WASA কেন গুরুত্বপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিষ্ঠান হলো WASA (Water Supply and Sewerage Authority)।
এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৪ সালে প্রথম ঢাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করে। পরবর্তীতে এটি ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন সেবার দায়িত্ব নেয়। এছাড়া, ওয়াসা এখন বোতলজাত খাবার পানিও সরবরাহ করছে। মূলত দূষিত পানি পান করা থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য ওয়াসা এই কাজ করছে। এতে জনগণ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছে। আবার, যথাযথ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ফলে পানি দূষণ রোধ হচ্ছে। তাই WASA প্রতিষ্ঠানটি পুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন-১১, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বৃহদায়তন হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের স্বার্থে গঠিত হয় এবং রাষ্ট্রের মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। এ ব্যবসায় সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের জনগণকে সেবা দেওয়াই এর মূল লক্ষ্য। এক্ষেত্রে ক্রেতা বা ভোঙা এ ব্যবসায় থেকে ন্যায্যমূল্যে সেবা নেওয়ার অধিকার পায়। এ ধরনের ব্যবসায় দেশের ও জনগণের স্বার্থে সকলের কাছে ব্যবসায়িক সুযোগ- সুবিধা পৌঁছাতে নিয়োজিত থাকে। তাই, বড় পরিসরে সেবা বা পণ্য সরবরাহের কারণে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বড় আকারের হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-১২, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের স্বার্থে গঠিত হয় এবং রাষ্ট্রের মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। বেশি সংখ্যক জনসাধারণের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে বেসরকারি ব্যবসায়ের পাশাপাশি এ ধরনের ব্যবসায়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সরকারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা এ ব্যবসায়ের অন্যতম উদ্দেশ্য। তাই, সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠন করে জনসাধারণের কর্মসংস্থান করে থাকে।
প্রশ্ন-১৩, কীভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের স্বার্থে গঠিত হয় এবং রাষ্ট্রের মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। দেশের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো হলো- তেল, গ্যাস, কয়লা প্রভৃতি। খনি থেকে উত্তোলন করে বেসরকারিভাবে ব্যবসায় করাতে খরচ বেশি ও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রাষ্ট্র এসব খনিজ সম্পদ উত্তোলন ও পরিশোধন করে থাকে। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদের রূপগত পরিবর্তন করে সেগুলো সরবরাহের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে।
প্রশ্ন-১৪, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কীভাবে একচেটিয়া প্রবণতা রোধ করে? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রের মাধ্যমে গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়কে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে জনগণকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বা সেবা সরবরাহ করা হয়। ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের ইচ্ছামতো পণ্য বা সেবার মূল্য নির্ধারণ করতে পারে না। এতে বাজারে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ফলে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা পায়। এভাবেই রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় একচেটিয়া প্রবণতা রোধ করে।
প্রশ্ন-১৫. আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করায় রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করায় রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ।
শুধু মুনাফা অর্জনই এর উদ্দেশ্য নয়, বরং দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠিত হয়। এ কারণে অনুন্নত অঞ্চল বা এলাকায় এ ধরনের ব্যবসায় স্থাপনে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ফলে অনুন্নত অঞ্চলে শিল্পায়ন হয় ও আত্মালিক বৈষম্য দূর হয়।
আরও দেখুন: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ১ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি ভালো লেগেছে। কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে বা আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্টে আমাদের জানাতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।