ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৮ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৮ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর: পেটেন্ট-এর মূল উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রযুক্তি ও শিল্পের উন্নয়নে আবিষ্কারককে উৎসাহ দেওয়া। এর ফলে আবিষ্কারক তার আবিষ্কারের সুফল ভোগের ব্যাপারে নিশ্চয়তা পান। এটি দেখে অন্য গবেষকগণও নতুন নতুন আবিষ্কারে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত হন।


ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৮ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন-১. ব্যবসায়ের আইনগত দিক বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
অথবা, ব্যবসায়ের আইনগত দিক সম্পর্কে জানা প্রয়োজন কেন?

উত্তর: বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তিসহ সব ধরনের ব্যবসায় সঠিকভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য নির্দিষ্ট আইনি বিধি-বিধানকে ব্যবসায়ের আইনগত দিক বলে।

ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ আছে। এগুলো সংরক্ষণের জন্য দেশে আইনগত বিধি-বিধানের প্রচলন আছে। এগুলো সম্পর্কে ধারণা নিয়ে তা প্রয়োগ করে ব্যবসায়ের আইনগত সমস্যার সমাধান করা যায়। তাই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ সংরক্ষণে (কপিরাইট, ট্রেডমার্ক ও পেটেন্ট প্রভৃতি) আইন যথাযথভাবে মেনে চলা অপরিহার্য।

প্রশ্ন-২. পেটেন্ট বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।
অথবা, পেটেস্ট কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: যে চুক্তির মাধ্যমে আবিষ্কারের ওপর আবিষ্কারককে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য সম্পূর্ণ মালিকানা দেওয়া হয়, তাকে পেটেন্ট বলে। পেটেন্ট করার অর্থ হলো আবিষ্কারক ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অন্য কেউ পণ্য বা সেবাটি তৈরি, ব্যবহার ও বিক্রি করতে পারবে না। এতে উদ্ভাবনকারীর আর্থিক স্বার্থ রক্ষা পায়। এক্ষেত্রে পণ্য বা সেবার উদ্ভাবক এবং সরকারের মধ্যে চুক্তি হয়।

প্রশ্ন-৩. ট্রেডমার্ক বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ট্রেডমার্ক হলো পণাকে সহজে চিহ্নিত করার জন্য সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো প্রতীক বা চিহ্ন।

এর মাধ্যমে মালিক নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্দিষ্ট চিহ্ন ব্যবহারের একক অধিকার লাভ করে। এতে ক্রেতা-ভোক্তাদের কাছে তার পণ্য পরিচিতি পায়। আবার, অসাধু ব্যবসায়ীদের জালিয়াতি এর মাধ্যমে রোধ করা যায়। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভ্যাই এর সুফল পায়।

প্রশ্ন-৪. ট্রেডমার্ক কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোনো প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্যকে অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য থেকে আলাদা করার জন্য যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে ট্রেডমার্ক বলে। এটি রেজিস্টার্ড মালিককে একক অধিকার দেয়। এক্ষেত্রে কেউ অন্য কোনো কোম্পানির পণ্যের চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ট্রেডমার্ক নকল করার দায়ে আদালতে মামলা করা যায়। এতে করে ক্ষতিপূরণও আদায় করা সম্ভব হয়। তাই ট্রেডমার্কের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

প্রশ্ন-৫. ট্রেডমার্ক নিবন্ধনের প্রধান সুবিধা কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোনো উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত পণ্য বা সেবাকে অন্যের উৎপাদিত পণ্য থেকে আলাদা করার জন্য যে মার্ক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয়, তাকে ট্রেডমার্ক বলে।

এটি রেজিস্টার্ড মালিককে একক অধিকার দিয়ে থাকে। এতে অন্য কোনো কোম্পানি এ মার্ক বা প্রতীক ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ট্রেডমার্ক নকল করার দায়ে আদালতে মামলা করা যায়। এতে ক্ষতিপূরণও আদায় করা সম্ভব হয়। তাই ট্রেডমার্কের নিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

প্রশ্ন-৬. ট্রেডমার্ক কীভাবে ব্র্যান্ড আনুগত্য তৈরি করে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: কোনো প্রতিষ্ঠান বা এর পণ্যের স্বাতন্ত্র্য প্রকাশে ব্যবহৃত বিশেষ চিহ্ন, প্রতীক, শব্দ বা লোগো হলো ট্রেডমার্ক। মানসম্মত পণ্য বা সেবার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ব্র্যাড তৈরি হয়। এতে নিদিষ্ট নাম বা লোগো দেখেই ক্রেতারা আকর্ষিত হয়। তারা ঐ পণ্য বা সেবার মানের ব্যাপারে আস্থাশীল হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য পণ্য কিনতেও ক্রেতারা দ্বিধা করে না। যেমন- ‘অ্যাপল’ কোম্পানির মোবাইল, ল্যাপটপ, আইপ্যাড।

প্রশ্ন-৭. মেধাস্বত্ব বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: ব্যক্তি তার মেধা ও মননশীলতা ব্যবহার করে যা সৃষ্টি করেন, তাকে মেধাসম্পদ বলে। শিল্প বা বাণিজ্যে প্রয়োগ উপযোগী আবিষ্কার, সাহিত্য ও শিল্পকর্ম, নকশা, প্রতীক, নাম প্রভৃতি মেধাসম্পদের অন্তর্ভুক্ত। শিল্প ও ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের মেধাসম্পদ বলতে ঐসব মূল্যবান সম্পদকে বোঝায়, যেগুলো তারা দীর্ঘদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে উদ্ভাবন করেছেন। এগুলোর ওপর তাদের আইনিভাবে একক অধিকার দেওয়া হয়। এই অধিকারকেই মেধাস্বত্ব বলা হয়।

প্রশ্ন-৮. কপিরাইট বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: লেখক বা শিল্পীর তার সৃষ্টকর্মের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একক আইনগত অধিকার পাওয়াকে কপিরাইট বলে। এটি একটি আইনগত ধারণা। এর উদ্দেশ্য হলো মেধাসম্পদ নকল থেকে রক্ষা করে প্রকৃত লেখক, শিল্পী বা স্বত্বাধিকারীর স্বার্থ সুরক্ষা করা। এতে কপিরাইট আইন অনুযায়ী একজন উদ্ভাবক তার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির ওপর সম্পূর্ণ অধিকার লাভ করেন। সাধারণত বই, প্রবন্ধ, নৃত্য, সংগীত, কৌশল প্রভৃতি অনুযায়ী বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কপিরাইটের আওতাভুক্ত।

প্রশ্ন-৯. কপিরাইট কেন প্রয়োজন? ব্যাখ্যা করো। ব্যাখ্যা করো।
অথবা, কপিরাইট কেন নিবন্ধন করা হয়?

উত্তর: লেখক বা শিল্পীর নতুন ও সৃজনশীল কাজ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিক্রি, উন্নয়ন বা ব্যবহারে তার একক ও বিধিবদ্ধ অধিকারকে কপিরাইট বলে।

এটি নিবন্ধন করা হয় সৃষ্টিকারীর স্বত্ব রক্ষা করার জন্য। এক্ষেত্রে কপিরাইট আইনের অধীনে কোনো সাহিত্য, চিত্রকর্ম বা বইয়ের স্বত্বাধিকারীর স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়। মূলত মালিকের স্বার্থ সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করার জন্যই কপিরাইট নিবন্ধন করা হয়।

প্রশ্ন-১০. নকল রোধ করে কোনটি? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: নকল রোধ করে কপিরাইট আইন। এর মাধ্যমে লেখক বা শিল্পী তার সৃষ্টকর্মের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থায়ী অধিকার পান। এটি একটি আইনগত ধারণা। এর উদ্দেশ্য হলো সৃষ্টকর্ম নকল থেকে রক্ষা করা। কেউ এর নকল করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা বা মামলা করা যায়। এতে আবিষ্কারকের স্বার্থ রক্ষা হয়। এভাবে কপিরাইট নকল প্রতিরোধ করে।

প্রশ্ন-১১, বিমা বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বিমা হলো বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারীর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি, যেখানে বিমাকারী নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বিমাগ্রহীতাকে ভবিষ্যৎ সম্ভাব্য ঝুঁকির নেওয়ার জন্য আর্থিক নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দেয়।।

মানুষের ভবিষ্যৎ আর্থিক সমস্যা ও অন্যান্য বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিমা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতার নিজের বা তার সম্পদের নির্দিষ্ট ক্ষতি হলে চুক্তি অনুযায়ী বিমাকারী বিমাগ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দেয়। ফলে ঝুঁকির বিপরীতে আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

প্রশ্ন-১২, ব্যবসায়ের জন্য বিমা অত্যন্ত সহায়ক কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বিমা হলো বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি, যেখানে বিমাকারী বিমাগ্রহীতাকে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঝুঁকি বা বিপদে ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে-সম্মত হয়।

ব্যবসায়ে সবসময় ঝুঁকি থাকে। বিমা এ ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা দূর করে। তাই বিমা শুধু অভ্যন্তরীণ শিল্প-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেই উন্নয়ন করে না। এটি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নয়নেও সাহায্য করছে। বর্তমানে বিমা ছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য মোটেই সম্ভব নয়। তাই বিমা হচ্ছে শিল্প-বাণিজ্যে সাহায্যকারী উপাদান।

প্রশ্ন-১৩. বিমা ব্যবসায়কে কীভাবে ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বিমা হলো বিমাগ্রহীতা ও বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি, যেখানে বিমাকারী বিমাগ্রহীতাকে নিদিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য ঝুঁকি বা বিপদে ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়।

বিমা সব ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট প্রিমিয়ামের বিনিময়ে ভবিষ্যতের দুর্ঘটনায় নির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর ক্ষতি হলে তা পূরণের ব্যবস্থা করে। ফলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন বড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। এভাবেই বিমা ব্যবসায়ীর ঝুঁকিগত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়তা করে।

প্রশ্ন-১৪, বিমাকে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বিমা হলো এক ধরনের চুক্তি, যেখানে বিমাকারী প্রতিষ্ঠান বিমাগ্রহীতার আর্থিক ক্ষতিপূরণের দায়ভার নেয়। এক্ষেত্রে বিমাকারী বা বিমা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম বা অর্থের বিনিময়ে বিমাগ্রহীতার নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের ঝুঁকি থেকে হওয়া আর্থিক ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেয়। তাই একে ক্ষতিপূরণের চুক্তি বলা হয়ে থাকে।

প্রশ্ন-১৫. ‘বিমা হচ্ছে সম্বিশ্বাসের চুক্তি’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: চূড়ান্ত সম্বিশ্বাস বলতে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্ক থাকা বোঝায়। বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা বিমার বিষয়বস্তু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিমাকারীকে জানায়। বিমাকারীও বিমা চুক্তির শর্তসমূহ সম্পূর্ণভাবে বিমাগ্রহীতাকে জানায়। এতে উভয় পক্ষ ধরে নেয় প্রয়োজনীয় সব তথ্য তারা একে অপরকে জানিয়েছে। এ বিশ্বাসের মাধ্যমে তাদের মধ্যে চুক্তি হওয়ায় বিমা চুক্তিকে চূড়ান্ত সম্বিশ্বাসের চুক্তি বলে।

প্রশ্ন-১৬. প্রিমিয়ামকে ঝুঁকি নেওয়ার ক্রয়মূল্য বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: বিমাকারী বিমাগ্রহীতার ঝুঁকি নেওয়ার জন্য বিমাগ্রহীতা বিমাকারীকে যে অর্থ দেয়, তাকে বিমা প্রিমিয়াম বলে।

প্রিমিয়াম হলো ঝুঁকির হস্তান্তর মূল্য। বিমাকারীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বা আর্থিক সহায়তা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই বিমাগ্রহীতা প্রিমিয়াম দেয়। অর্থাৎ, ঝুঁকি নেওয়ার প্রতিদান হিসেবে বিমাকারী বিমাগ্রহীতার কাছ থেকে প্রিমিয়াম নেয়। তাই প্রিমিয়ামকে ঝুঁকি নেওয়ার ক্রয়মূল্য বলা হয়।

প্রশ্ন-১৭, ‘জীবন বিমা নিশ্চয়তার চুক্তি’- ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: মানুষের জীবনকে বিভিন্ন ক্ষয়-ক্ষতি বা ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য যে বিমা করা হয়, তাকে জীবন বিমা বলে।

এ বিমায় মানুষের মৃত্যুজনিত ঝুঁকির বিমা করা হয়। এতে নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রিমিয়াম জমা দেওয়া হয়। মেয়াদে শেষ হলে বিমাগ্রহীতার মৃত্যু হোক বা না হোক বিমাকারী অর্থ পরিশোধের প্রতিশ্রুতি বা নিশ্চয়তা দেয়। তাই জীবন বিমাকে নিশ্চয়তার চুক্তি বলা হয়।

প্রশ্ন-১৮. পরিবেশ আইন কী? ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: যে আইনে পরিবেশ সংরক্ষণ, উন্নয়ন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় বিধি-বিধানের উল্লেখ আছে, তাকে পরিবেশ আইন বলে।

বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ও পরিবেশ সংরক্ষণ নীতিমালা ১৯৯৭ বিদ্যমান আছে। এ আইনের সঠিক প্রয়োগ ও অনুসরণ ব্যবসায়-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন-১৯, পরিবেশ আইনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো।

উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশের উন্নয়ন, পরিবেশ দূষণ রোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশে যে আইন প্রচলিত আছে, তাকে পরিবেশ আইন বলে।

পরিবেশ আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও এর অনুসরণ সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে। পরিবেশ আইন মেনে চললে পরিবেশের সাথে জড়িত প্রাণিজগতের স্বাভাবিক বিকাশ হয়। এর মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি বহিবিশ্বে দেশের সুনাম সৃষ্টি হয়। এতে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ে। এছাড়া দেশীয় পণ্যের চাহিদাও বাড়ে। তাই পরিবেশ আইন গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন-২০. বায়ুদূষণ রোধে করণীয় সম্পর্কে লেখো।

উত্তর: বায়ুতে ধোঁয়া, ক্ষতিকারক গ্যাস, ধুলা-বালি ও সিসাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকারক উপাদান মিশে বায়ুর স্বাভাবিকতা নষ্ট হলে, তাকে বায়ুদূষণ বলে। এটি প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর উপায় হলো দূষণের উৎসগুলো বন্ধ করা অথবা এর মাত্রা কমানো। এক্ষেত্রে বায়ুদূষণ কমাতে কয়লার পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস, বিদ্যুৎশক্তি প্রভৃতি ব্যবহার ব্যবহার করা যায়।


আরও দেখুন: ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র ৭ম অধ্যায় প্রশ্নোত্তর

আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেল টি ভালো লেগেছে। কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে বা আরও কিছু জানার থাকলে কমেন্টে আমাদের জানাতে পারেন। ভালো থাকবেন সবাই, ধন্যবাদ।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *